Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Showing posts with label অস্থি ও অস্থিসন্ধির সমস্যা. Show all posts
Showing posts with label অস্থি ও অস্থিসন্ধির সমস্যা. Show all posts

Sunday, August 31, 2014

হাই- হিলের ক্ষতিকর দিক!

হাই হিল ফ্যাশান সচেতন নারীদের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এই কথা অনস্বীকার্য যে হাই হিল পরলে অনেক বেশি স্মার্ট এবং ট্রেণ্ডী দেখায়।



তবে সত্যি কথা কি জানেন, নিয়মিত মিষ্টি খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, তেমনি নিয়মিত হাই হিল পরাটাও স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। মিষ্টি খাবার যেমন শুধু মাত্র উৎসবের জন্য রেখে দেওয়া ভালো, তেমনি শুধু বিশেষ কোনো কারণেই হাই হিল পরাটা উত্তম।

গোড়ালির জন্য মারাত্মক ক্ষতিঃ

পায়ের জন্য যে হাই হিল বেশ ক্ষতিকর, এটা জানা কথা। হাই হিল পরার কারণে গোড়ালিতে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। গোড়ালি মচকে যাওয়া থেকে শুরু করে হাড়ে চিড় ধরার ঘটনাও অস্বাভাবিক নয়। শুধু তাই নয়, পায়ের বুড়ো আঙ্গুল এবং অন্যান্য আঙ্গুলের বিকৃতি ঘটার পেছনেও দায়ী হতে পারে হাই হিল নিয়মিত পরার অভ্যাস। এটা তখনই বেশি হতে দেখা যায় যখন পায়ের জন্য হাই হিল জুতোটা বেশি টাইট হয়ে থাকে।

হাই হিলের উপকারিতাঃ
হাই হিলের সব যে শুধু অপকারিতা তা নয়। এর কিছু উপকারিতাও আছে। যেমন কম উচ্চতার মেয়েদের মনের ইচ্ছা পূরণ করে দেয় বিনা কোন ঝামেলা ছাড়াই। এছাড়া শুধু খাটো নয় দেখবেন লম্বা মেয়েদের মাঝেও হাই হিল পরার একটি প্রবণতা আছে। এর একটি কারণ হল এটি আপনাকে একটি স্টাইলিশ লুক দিবে। এছাড়া হাই হিল আপনার বডি পসচারকে আকর্ষণীয় করে তোলে। এমনকি আমাদের মধ্যে যারা পাশ্চাত্য দেশের আদলের কাপড় পরেন তাদের পোশাককে কমপ্লিমেন্ট করতে হাই হিলের তো জুড়ি নেই।

নিচু হিলের উপকারিতাঃ

আপনার কাছে যদি ৪ ইঞ্চি এবং ২ ইঞ্চি হিল পরার অপশন থাকে এবং আপনি যদি হয়ে থাকেন ফ্যাশন সচেতন, তাহলে হয়তো আপনি ৪ ইঞ্চি হিল পরতে চাইবেন। আসলে কিন্তু কম উচ্চতার হিলটাই আপনার জন্য ভালো। এতে আপনার পায়ের সামনের দিকটা সুস্থ থাকে।

শুধু তাই নয়, হিলটা যদি হয় স্টিলেটোর মতো চিকণ, তাহলে সেটা বেশি ক্ষতি করবে। এর চাইতে একটু মোটা হিলের জুতা পরুন, তাতে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকবে, সহজে পা ফসকাবে না, মচকাবেও না। খুব বেশি হাই হিলের কারণে বেশ গুরুতর কিছু শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে, যেমন প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস এবং একিলিস টেন্ডনাইটিস। শুধু তাই নয়, মর্টন’স নিউরোমা নামের একটি স্নায়বিক রোগও হতে পারে নিয়মিত হাই হিল পরার দোষে।

হাই হিল পরতে পরতে যদি পায়ের ব্যাথা কয়েক দিনের বেশি সময় ধরে কষ্ট দেয়, তাহলে ডাক্তার দেখানোটা জরুরী।

হাই হিল পরার কারণে পুরো শরীরের ভার আপনার পিঠের দিক টায় পড়ে। যার কারণে আপনার ব্যাক পেইন অনুভূত হতে পারে। তবে ব্যায়াম বা ইয়োগা আপনাকে এই ধরনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

লেগ স্প্রাইনের সাথে আমারা অনেকেই হয়ত পরিচিত। মহিলাদের মাঝে এর প্রধান কারণ হাই হিল। যদি কারও হাই হিল পরার অভ্যাস না থেকে থাকে তবে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই যখন হিল পরবেন চেষ্টা করবেন ধীরে হাঁটার এবং এক্সট্রা যত্ন নিয়ে হাঁটবেন।

এক জোড়া “পারফেক্ট” জুতোর খোঁজঃ
পায়ের এতো সব সমস্যা এড়ানোর জন্য দুটো কাজ করা যায়। হয় জুতো পরা একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে, অথবা নির্বাচন করতে হবে আরাম দায়ক এবং স্বাস্থ্যকর জুতো। এখনকার ব্যস্ত সময়ে যেহেতু জুতো পরা বাদ দিয়ে বাসায় বসে থাকার কোনো উপায় নেই সুতরাং আমাদের দরকার নিজেদের পায়ের জন্য “পারফেক্ট” জুতো নির্বাচন। যেহেতু অনেক শখ করে জুতো কিনে থাকেন নারীরা, সুতরাং এই
জুতো যাতে পায়ের ক্ষতি না করে তার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরী।

আসুন দেখে নেওয়া যাক সঠিক জুতো নির্বাচনের কিছু টিপসঃ

✬  আমাদের পায়ের মাপ সব সময়ে এক নাও থাকতে পারে। তাই প্রতিবার জুতো কেনার আগে পায়ের মাপ নিয়ে নিন।
✬ একেক ব্র্যান্ডের জুতোর মাপ একেক রকম হয় সুতরাং জুতোর সাথে পা ঠিক খাপ খাচ্ছে কিনা দেখে নিন।
✬ জুতো পায়ে দিয়ে দেখার জন্য উঠে দাঁড়ান এবং হেঁটে দেখুন।
✬ একজোড়া জুতো পায়ে দিয়ে যদি মনে হয় সেগুলো বেশি টাইট, তার পরেও অনেকে কিনে ফেলেন এই মনে করে যে পরতে পরতে জুতো ঢিলে হয়ে যাবে। এই কাজটা করলে পায়ের সমস্যা হবার সম্ভাবনা বেশি এবং বেশির ভাগ জুতো আসলে ঢিলে হয় না।
✬ জুতো কিনতে যাওয়ার জন্য সবচাইতে ভালো সময় হলো বিকেল বেলা। এ সময়ে পায়ের আয়তন সবচাইতে বেশি থাকে।
✬ হিল যদি কিনতেই হয় তাহলে পায়ের আঙ্গুল বের হয়ে থাকে এমন হিল কিনুন অথবা সিলিকন হিল কাপ ব্যবহার করুন যাতে পায়ের ওপর হিলের ক্ষতিকর প্রভাব কম পড়ে। তবে একেবারেই হিল পরবেন না সেকথা আমি বলছি না। শুধু মাত্র উপরের টিপসগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন আর খুব বেশি প্রয়োজন না হলে হাই হিল এড়িয়ে চলাই ভালো।



[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, July 5, 2014

Sinusitis/ সাইনুসাইটিস!

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুন্দর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন তথা নাককান ও গলায় এ তিন অঙ্গ মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর কোনো একটি রোগাক্রান্ত হলে সম্পূর্ণ মানবদেহই অসুস্থ হয়ে যায়। এ তিন অঙ্গের যেকোনো একটি অথবা একত্রে তিনটিই রোগাক্রান্ত হতে পারে। যখন কোনো মানুষের রক্তের Esonophil, Serum IGE-এর পরিমাণ বাড়তে থাকেতখন এমনিতেই ঠাণ্ডাহাঁচিসর্দি লেগে যায়। একপর্যায়ে নাকের ভেতরের মাংস ও টনসিল বৃদ্ধি হয় এবং সব শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। মুখমন্ডল ও মস্তিস্কের হাড়কে হাল্কা করার সুবিধার্তে এর ভেতরে কিছু বায়ুকুঠুরি আছে যার নাম সাইনাস (Sinus), আর ঠাণ্ডায় এর প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন এর জন্য যেই রোগটি হয় তাই আমাদের অতিপরিচিত সাইনুসাইটিস (Sinusitis)



সাইনাস সাধারণত চার প্রকারঃ
১। Maxillary
২। Frontal
৩। Ithomoidal
৪। Sphenoidal

সাধারণত Maxillary ও  Frontal সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে থাকে। মাথার খুলির মধ্যে যে Sinus থাকেসেগুলোর বিশেষ ধরনের কাজ রয়েছে। এসব সাইনাস মাথার মধ্যে অবস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুতে কাজ করে মাথাকে হালকা রাখে ও খুলির অঙ্গকে যাবতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা করে। 

সাইনোসাইটিস দুই ধরনেরঃ 
একটি তীব্র প্রদাহযুক্ত অন্যটি ক্রনিক দীর্ঘ দিনের প্রদাহ, যা সাধারণত আস্তে আস্তে হয়ে থাকে। সাইনোসাইটিস সাধারণত ঠাণ্ডা ও ভেজা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, ধুলোবালু ও ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশে বেশি দেখা যায়। এ ছাড়াও নাকে আঘাত পাওয়াএলার্জিনাকের হাড় বাকা হয়ে যাওয়ানাকে টিউমার হওয়া, নাকের ইনফেকশননাকের ভেতর ঝিল্লির প্রদাহ ও নাকের ভেতর মাংস বৃদ্ধি এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত নানাবিধ কারণে গুলো এ রোগের প্রকোপ অনেকগুনে বাড়িয়ে তোলে

উপসর্গঃ 
সাধারণত চোখের নিচ ও কপাল সহ মাথাব্যথামুখমণ্ডলমাথার পেছন দিকে ব্যথাসর্দিহাঁচিনাকে ব্যথা হওয়া এবং আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট অনুভব হলেই সাইনোসাইটিসের লক্ষণ বুঝতে হবে। নাক দিয়ে অবিরত পানি পরা বা হটাৎ করে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সাইনুসাইটিস রোগের একদমই পরিচিত একটি উপসর্গ। সেই সাথে তীব্র-দীর্ঘ ও বিরক্তিকর মাথা ব্যথা তো রয়েছেইসাইনাস গুলোর ঠিক উপরেও একটা চাপা ব্যথা থাকে। মাথা ভারী ভারী লাগা ও সবকিছু খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া। অনেক সময় এর সাথে জরগা ম্যাজ ম্যাজ করা এবং মানসিক অবসাদ যোগ হয়ে রোগীকে ভীত করে তোলে। এ ক্ষেত্রে প্যাথলজিতে পিএনএস এক্স-রে করে আমরা সাইনাসের অবস্থান জানতে পারি। 

সাইনোসাইটিসের চিকিৎসাঃ 
সাধারণত বেশির ভাগ রোগীকেই দেখা যায় যারা সাইনাসে ভোগেন তাদের নাকের ভেতর মাংস বৃদ্ধি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রথমে পলিপের চিকিৎসা দিয়ে নাকের দুটি ছিদ্র ব্লক অবস্থা থেকে মুক্ত করে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা শুরু করা ভালো। এতে ভালো ফল আশা করা যায়। 

সাধারণত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সাইনোসাইটিসের তীব্র কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে অতি অল্প সময়ে মধ্যে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অন্য পদ্ধতিতে অপারেশন ও সিরিঞ্জ দিয়ে পানি ঢুকিয়ে ওয়াশের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় বছরে কমপক্ষে দুইবার এ ধরনের চিকিৎসা নিতে হয়। এটি রোগীর জন্য দীর্ঘ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা।


রোগীদের করণীয়ঃ 
চিকিৎসার পাশাপাশি ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার ব্যবহার, অতিরিক্ত গরম, ধুলোবালু, অ্যালার্জি-জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।

অনেকের এই রোগটি বছরে কয়েকবার হয়ে থাকেবিশেষ করে যারা বিভিন্ন এলার্জিতে ভোগেনতাই এ রোগ এড়াতে ঐসব ব্যাপারে বিশেষ সাবধান হওয়া আবশ্যক। শুষ্কখোলামেলা এবং যথেষ্ট আলো বাতাস আছে এমন ঘরে বসবাস সাইনুসাইটিসের সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করে। সেই সাথে নাকে বাষ্পের ভাপ নেয়াপুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া এবং বিশ্রাম নেয়া এ রোগে বেশ আরাম দেয়


[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, April 6, 2014

ঘাড়, পিঠ ও কোমরের ব্যথার অন্যতম কারণ - মেরুদন্ডের ডিস্ক প্রোল্যাপ্স- !!

মানুষের দেহ কাঠামোর একটি বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে মেরুদন্ড। মেরুদন্ড অনেকগুলি ছোট ছোট হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। এই ছোট হাড় গুলির প্রত্যেকটি কশেরুকা (ভাটিব্রা) নামে পরিচিত। প্রতিদুইটি কশেরুকার মাঝে চাপ শোষনকারী ডিস্ক থাকে যেটি মেরুদন্ডের এক হাড় থেকে অন্য হাড়কে আলাদা রাখে এবং নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
অবস্থানভেদে কশেরুকা গুলো চারটি ভাগে বিভক্ত: ১) সারভাইকেল (গ্রীবাদেশীয়) ২) থোরাসিক (বক্ষদেশীয়) ৩) লাম্বার (কোমরদেশীয়)  ৪) স্যাকরাম (কটিদেশীয়)। প্রতেকটি ডিস্কের ভিতরের অংশ জেলির মতো নরম এবং বাইরের অংশ শক্ত তন্তু দ্বারা গঠিত। ভিতরের অংশকে নিউক্লিয়াস পালপোসাস এবং বাইরের অংশকে অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস বলে। আমাদের বিভিন্ন ধরনের নাড়া-চাড়া ও ভার বহন জনিত চাপকে প্রশমিত করে ডিস্ক।

ডিস্ক প্রোল্যাপ্স:
বাহ্যিক আঘাত, হাড়ের ক্ষয় ও অতিরিক্ত ভাড় বহনের ফলে ডিস্কের মধ্যবর্তী অংশ যখন বাইরে বের হয়ে গিয়ে স্নায়ুমূলে (নার্ভরুটে) চাপ সৃষ্টির ফলে ডিস্ক প্রোলাপ্স জনিত ব্যথা উপন্ন হয়। ডিস্কের অবস্থান ও প্রোল্যাপ্স এর মাত্রার উপর নির্ভর করে ডিস্ক প্রোলাপ্সের জটিলতা। প্রাথমিক অবস্থায় রোগী মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভব করে। পরবর্তীতে জটিলতা বাড়তে থাকলে  রোগী হাত বা পায়ে ঝিন ঝিন শিন শিন বা অবশ হওয়া অনুভব করেন। 

ঘাড় ও পিঠ ব্যথা: ঘাড়ে উৎপন্ন ব্যথা ঘাড় নড়াচড়ার সাথে সাথে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। ঘাড় থেকে ব্যথা মাথার দিকে বা শিরদাড়া বেয়ে হাতের দিকে যেতে পারে। ব্যথার সাথে ঘাড়ে বা হাতে জ্বালা-পোড়া, ঝিন-ঝিন, শিন-শিন করতে পারে। অনেক সময় ঘাড়ে উৎপন্ন ব্যথার ফলে রোগী হাত-পা বা আঙ্গুল অবশ হয়ে যেতে দেখা যায়। একপর্যায়ে হাত ও পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পেতে থাকে। সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে চলাফেরা বা দৈনন্দিন কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোমর ব্যথা: লাম্বার ডিস্ক প্রোলাপ্সের ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা অনুভব হয়। স্বাভাবিক নড়াচড়ায় ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে বা দীর্ঘক্ষণ হাটাহাটি করলে কোমড় ব্যথা বেড়ে যায়। এমনকি হাচি ও কাশির ফলে কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। কোমর থেকে ব্যথা ক্রমশ পায়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ধীরে ধীরে পা প্যারালাইসিস বা অবশ হয়ে যেতে দেখা যায়। পায়ে নিচের দিকে টানটান ভাব, জ্বালা-পোড়া, ঝিন-ঝিন, শিন-শিন ও কামড়ানো অনুভব হতে পারে। ধীরে ধীরে মেরুদন্ড বেকে গিয়ে কুঁজো হয়ে যেতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে কোমর ব্যথার ফলে পস্রাব পায়খানা বন্ধ হয়ে রোগী শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এইভাবে চলতে থাকলে রোগী একপর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

চিকিংসা:  ঘাড়, পিঠ ও কোমর ব্যথায় ক্রমাগত ব্যথানাশক খাওয়ার পরিবর্তে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিংসকের শরণাপন্ন হয়ে রোগ নির্ণয় করতে হবে। প্রথমিকভাবে কয়েকটি ফিজিওথেরাপি দিয়েও যখন রোগী আরোগ্য লাভ না করে তখন MRI করে দেখতে হবে ডিস্ক প্রোলাপ্সজনিত কোন সমস্যা আছে কি না? মেরুদন্ডের ডিস্কের চাপ বেশী হলে অপারেশনের মাধ্যমেই সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমানে বিশ্বের অত্যাধুনিক লেজার সার্জারীর মাধ্যমে কাটা-ছেড়াহীন (Percutaneous Laser Disc Decompression -PLDD) চিকিংসা বাংলাদেশে চালু আছে। এর ফলে রোগীকে দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল চিকিংসার পরিবর্তে স্বল্প মেয়াদী ও নিরাপদ লেজার চিকিংসায় দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয়। তাছাড়া যেহেতু লেজার সার্জারীতে রোগীকে অজ্ঞান করতে হয় না তাই ডায়াবেটিস, কিডনী ও হৃদরোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক রোগীরাও এখন ঝুকিহীনভাবে পিএলডিডি চিকিংসা গ্রহণ করতে পারছেন।

খরচ: অত্যাধুনিক লেজার সার্জারীর পিএলডিডি অপারেশনটি US FDA কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ায় উন্নত বিশ্বে ব্যাপক পরিচিত। ইউরোপ ও আমেরিকায় এই
চিকিংসাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল তথাপি বাংলাদেশে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে একমাত্র লেজার সার্জারী এন্ড হাসপাতালে নিরাপদ  PLDD চিকিংসাটি চালু আছে। রোগীদের সন্তুষ্টি ও দ্রুত আরোগ্যের কারণে  PLDD বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই ঘাড়, পিঠ ও কোমর ব্যথায় অবহেলা না করে নিরাপদ চখউউ এর মাধ্যমে দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন।


লেখক: ডা. মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লেজার সার্জারী এন্ড হাসপাতাল

www.LaserHospital.net Phone: +88-01856439001



Wednesday, January 15, 2014

হাড় মজবুত রাখার উপায়!

হাড়ের মূল উপাদান আমিষ, কোলাজেন ও ক্যালসিয়াম। প্রাকৃতিক নিয়মেই ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ও পরিমাণ কমতে থাকে, হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হতে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ বছরের দিকে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সামান্য আঘাতেও বয়স্ক ব্যক্তির মেরুদণ্ড, কটি, পাঁজর ও কবজির হাড় ভেঙে যেতে পারে।



হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া ও ভঙ্গুরতার ঝুঁকি কাদের বেশি?
= ৪০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব বংশানুক্রমিকভাবে নির্ধারিত হয়। তাই পরিবারে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে ঝুঁকিটা বেশি।
= ২০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব নির্ধারিত হয় জীবনযাত্রার মাধ্যমে। শৈশব থেকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম, খনিজ ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ধুমপান ও মদ্যপান বর্জন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা এবং কর্মক্ষম থাকা হাড়ের সুস্থতার জন্য দরকারি।
= পুরুষের তুলনায় নারীদের হাড় ভাঙার প্রবণতা বেশি; বিশেষ করে যাঁরা শারীরিক গঠনে পাতলা ও খাটো।
= প্রায় ২০ শতাংশ নারী মেনোপোজের পর মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙার শিকার হন। একবার হাড় ভাঙার পরবর্তী বছরে সাধারণত আরেকটি নতুন হাড় ভাঙে।
= থাইরয়েড ও পিটুইটারি গ্রন্থির নানা সমস্যা হাড়ের ক্ষয়কে ত্বরান্বিত করতে পারে।
= দীর্ঘদিনের স্টেরয়েড ওষুধ সেবন, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, খাদ্যনালির অস্ত্রোপচার বা রোগ, যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করে

উপসর্গঃ
হাড় ভাঙার আগে সাধারণত কারও কারও পিঠ, কোমর, ঘাড় ও পেশিতে ব্যথা হয়। কারও বয়সের সঙ্গে মেরুদণ্ডের কশেরুকার উচ্চতা কমে যায়, রোগী সামনে ঝুঁকে থাকে এবং পেছনে কুঁজো হয়।

হাড় মজবুত রাখার উপায়ঃ
নিয়মিত ব্যায়ামঃ- যেমন হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা এবং সব সময় কর্মক্ষম থাকা উচিত। কৈশোরে যথেষ্ট কায়িক পরিশ্রম করলে হাড়ের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা বৃদ্ধির ফলে বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয় কম হয়।
কৈশোরে দৈনিক এক হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম, ৫০ বছর পর্যন্ত এক হাজার মিলিগ্রাম এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে এক হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সেবন করা উচিত। ধুমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। হাড়ের পরিমাণ হ্রাস, হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা নির্ণয় করা যায় বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ওষুধ সেবন করুন।


 [ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ]

Friday, November 1, 2013

ঘাড়, কোমড় ও হাটু ব্যথা রোগীদরে জন্য ১৫টি পরামর্শঃ

কোমরে ব্যথা নিরাময়ে যেমন ব্যায়াম জরুরি, তেমনি সতর্কতাও কাজে আসে


১) নিচ থেকে বা মাটি থেকে কিছু তুলতে হলে সরাসরি তুলবেন না বা ঝুঁকে যাবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে বসুন ধীরে বসুন ও তারপর তুলুন

২) ঘাড়ে ভারী কিছু ওঠাবেন নাভারী জিনিস শরীরের কাছাকাছি ধরে হাতেই বহন করতে চেষ্টা করুনপিঠে ভারী কিছু বহন করতে হলে সামনে ঝুঁকে বহন করুন

৩) ৩০ মিনিটের বেশি একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না

৪) হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না কখনোইএতে পিঠে ব্যথা ভয়ংকর বাড়বে

৫) দীর্ঘ সময় হাঁটতে হলে উঁচু হিল পরা হতে বিরত থাকুনস্টাইলের চাইতে স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ

৬) অনেকক্ষণ একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিনমাঝে মাঝে একটু বসে বিশ্রাম নিন

৭) গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে বেশি দূরে বসবেন না, কিংবা ঝুঁকে বসবেন নাশিরদাঁড়া সোজা করে বসুন চেয়ার টেবিল থেকে বেশি দূরে বসবেন না, সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না

৯) দীর্ঘসময় বসতে হলে কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিনএমনভাবে বসুন, যেন হাঁটু ও ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকেনরম গদি বা সিপ্রংযুক্ত চেয়ার পরিহার করুনছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন

১০) উপুড় হয়ে শোবেন নাফোম বা স্প্রিং এর গদিযুক্ত বিছানা পরিহার করুনবিছানা শক্ত ও পুরু হলে এবং তোশক পাতলা ও সমান হলে ভালো

১১) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুনস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন

১২) ডাক্তারের পরামর্শ মতন নিয়মিত কায়িক শ্রম করুন বা ব্যায়াম করুননিয়মিত হাঁটুন

১৩) কাটা-কুটো, রান্না, মসলা পেষা, ঘর মোছা, কাপড়কাচা, ঝাঁট দেওয়া বা নলকূপ চাপার সময় মেরুদণ্ড সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন

১৪) যাঁরা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা বিছানা থেকে ওঠার সময় সতর্ক হোনচিত হয়ে শুয়ে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করুনএবার ধীরে ধীরে এক পাশে কাত হোনপা দুটি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, কাত হওয়া দিকে কনুই ও অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন

১৫) কোমর ব্যথা নিয়ে বুকডন দেয়ার চেষ্টা করবেন নাবাগান করা,কাপড় ধোয়া, ঘর মোছা ইত্যাদি কাজেও কোমরের ওপর ভীষণ চাপ পড়েরিকশায় চড়তে হলে খুব সাবধানে উঠুন

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য

Wednesday, October 30, 2013

কম্পিউটারের সামনে বসবেন কীভাবে?

প্রতিদিন কম্পিউটারে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন যাঁরা তাঁদের নানা রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন: কোমর, ঘাড় ও ঊরুতে ব্যথা, কাঁধ ও আঙুল অবশ হয়ে আসা, হাতের কবজি ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ শুকনো বোধ করা ও মাথাব্যথা। 


তবে এসব সমস্যার বেশির ভাগই হয়ে থাকে অনুপযুক্ত চেয়ার-টেবিল ও দেহভঙ্গির কারণে

বসার ভঙ্গি কেমন হবে?
এমন একটি চেয়ার ব্যবহার করুন, যা আপনার দেহের বাঁকগুলোর সঙ্গে মিশে যায়চেয়ারে হেলান দিয়ে বসা ভালো আপনার কোমর, ঊরু ও হাঁটু যেন একই সমান্তরালে থাকে পায়ের পাতা দুটো আরাম করে মেঝেতে বিছিয়ে রাখতে হবে, ঝুলে থাকবে না হাত দুটো কাজের ফাঁকে চেয়ারের হাতলে বিছিয়ে রাখা যাবে চেয়ারটির গদি এমন হবে, যা খুব শক্ত নয়, আবার বেশি নরমও নয়

কম্পিউটারটি কেমন হবে?
কম্পিউটারের মনিটর চোখ থেকে অন্তত ২০ থেকে ২৬ ইঞ্চি দূরে থাকবে মনিটরের একেবারে ওপরের বিন্দুও যেন চোখের সমান্তরালে থাকে, জোর করে উঁচু হয়ে যেন দেখতে না হয় কম্পিউটার টেবিলের নিচে পা দুটি যথেষ্ট আরাম করে জায়গা পাবে, গাদাগাদি করে থাকবে না টেবিলের উচ্চতা হবে কনুইয়ের সমান্তরাল কি-বোর্ড ও মাউসের জায়গাটি আপনার ঊরুর ১ থেকে ২ ইঞ্চি ওপরে থাকবে কবজি সোজা ও বাহু মেঝের ঠিক ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকবে মনিটর এমন জায়গায় স্থাপন করুন, যেখানে অতিরিক্ত আলোর জন্য চোখে চাপ পড়বে নাযেমন জানালা থেকে একটু দূরে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন। একটানা বেশি সময় ধরে একই ভঙ্গিতে বসে কাজ করবেন না। কাজের মধ্যে বিশ্রাম নিনঅফিসে দু-এক পাক ঘুরে আসুন

ক্লান্ত লাগলে দাঁড়িয়ে মাংসপেশিগুলো টান টান করে নিন। মাসল স্ট্রেচিংয়ের কিছু নিয়ম আছে: দাঁড়িয়ে হাত মাথার ওপর নিয়ে টান টান করুনমাথা এক দিকের কাঁধের ওপর হেলে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন, এবার উল্টো দিকেও তা করুন। কাঁধ দুটোকে কানের কাছাকাছি উঁচু করে ধরুন, কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন। হাত দুটো মুঠো করে সামনে টান টান করে আড়মোড়া ভাঙার মতো করে সামনে-পেছনে আনুন

মাঝে মাঝে মনিটর থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে বাইরে সবুজ কোনো দৃশ্যে চোখ রাখুন ও চোখের বিশ্রাম নিন

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য